চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাস যা কিনা বিশ্বের সকল প্রতিষ্ঠান থমকে দিয়েছে। ফলে এর বড় একটি প্রভাব ও দেখা যায় বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর। ৮ই মার্চ ২০২০ সর্বপ্রথম বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ ২০২০ হতে সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঠিক তখন থেকেই এই দেশে শুরু হয় পড়ালেখার অবনতি।
২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের কারণে পড়ালেখার অগ্রগতি বজায় না থাকার কারণে ২০২০ সালের সকল শিক্ষার্থীদের অটোপাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এই অটোপাস শিক্ষার্থীদের জন্য ঠিক যেমন আর্শীবাদ তার সাথে অভিশাপ ও বলা যায়। যেমন এইস এস সি ব্যাচ ২০২০ এর রেজাল্ট গণনা করা হয়। জে এস সি এবং এস এস সি এর রেজাল্টের মাধ্যমে।
এভাবে কভিড ১৯ এর কারণে ঘরে বসে বসে দীর্ঘ প্রায় একটি বছর চলে যাওয়ার পর ২০২১ সালের সকল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এর উপর নতুন চাপ বিস্তার করে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ২০২১ সালেও অটোপাস চায়। তবে এভাবে টানা দুটি বছর অটোপাস দিয়ে দেওয়া হলে ভবিষ্যতে এর কোনো খারাপ প্রভাব পরবে কিনা তা ও আমাদের ভাবতে হবে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা তো সকল শিক্ষার্থীর প্রয়োজন। তাই শিক্ষামন্ত্রী কলেজ খুলে দেওয়ার ব্যাপার নিয়ে ও ভাবছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই পরীক্ষা নেওয়ার হলে শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের সময় বৃদ্ধি করা, কিংবা সিলেবাস কম করা। তবে সিলেবাস করা হলে এইস এস সি পরীক্ষা এর পর এডমিশন এর পরীক্ষায় ও এর মন্দ প্রভাব পরবে।
২০২১ সালের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছে তাদের কিছুই করার সুযোগ নেই। কিছু শিক্ষার্থী অটোপাস চায়, কিছু শিক্ষার্থী এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও মূল্যায়ন চায় অর্থাৎ পরীক্ষা চায়। এইসব বিষয় নিয়ে আন্দোলন, দ্বিধা দ্বন্দ্ব, বিতর্ক তো লেগেই রয়েছে। তাই ২১ ব্যাচ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ও অনেক বিতর্ক। কারণ যেকোনো সিদ্ধান্তই কেউ সঠিক বলে মনে করতে পারছে না।