সাধারণত যেকোনো নির্বাচনে জনগণের কাছে আলোচনার তুঙ্গে থাকে একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর জয়-পরাজয় নিয়ে। কিন্তু লড়াইটা যখন জামাই ও শ্বশুরের মধ্যে হয় তখন এলাকার মানুষদের মাঝে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা এবং কয়েকদিনের জন্য জামাই- শ্বশুরকে নিয়ে একটু আনন্দ-বিনোদন হবে এটাই তো স্বাভাবিক!
বলছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার পৌর নির্বাচনে জামাই-শ্বশুড়ের লড়াইয়ের কথা। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মেয়ের জামাতাকে হারিয়ে পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন শ্বশুর। এদিকে, ভোটকেন্দ্রে আসেনি দুই প্রার্থীর মেয়ে ও স্ত্রী।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত উক্ত পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শ্বশুর বাবুল মিয়ার প্রতীক ছিল পাঞ্জাবি ও জামাই হুমায়ুন কবিরের প্রতীক ছিল পানির বোতল।
সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষে উপজেলা পিসাইডিং অফিসার কামাল আহমেদ খানের তথ্যমতে, শ্বশুর বাবুল মিয়া (বর্তমান কাউন্সিলর) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাই হুমায়ুন কবিরকে ৫৮৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে পুনরায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে শ্বশুর বাবুল মিয়া ১ হাজার ৪৩৬ ভোট ও জামাই হুমায়ুন কবির ৮৭৪ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচনের আগে জামাই ও শ্বশুর একে-অপরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বললেও দুইজন দুই কারণ দেখিয়ে নির্বাচন করে গেছেন।
বিজয়ী হওয়ার পর শ্বশুর বাবুল মিয়া বলেন, আমি আমার মেয়ের জামাইকে নিজের ছেলের মতো দেখেছি, এখনো তা দেখব। আমি তাকে কলিজার টুকরো মনে করেছি, এখনো তা করব। এতে আমাদের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হবে না। জামাই তো জামাই-ই।