কাজে কর্ম ব্যস্ততায় আজ আমাদের চট্রগ্রাম শহর। ব্যস্ততার কথা মনে পড়লেই আমাদের কথা বলতে হয় রাস্তাঘাট নিয়ে। আর রাস্তাঘাটের কথায় আমাদের স্বরণ করিয়ে দেয় চসিক অর্থাৎ চট্টগ্রাম চিটি কর্পোরেশন কে। বাস্তবিকভাবে চট্রগ্রাম শহরের রাস্তাগুলো আমরা দেখে বলতে পারি তা সম্পূর্ণ সঠিক নয় আবার বলা যায় সিটি কর্পোরেশনের কাজের ব্যর্থতা।করাণ চট্টগ্রাম শহরের কিছু নাম করা এলাকা আগ্রাবাদ, বন্দর, দামপাড়া পুলিশ লাইন, টাইগার পাস, খুলশি এইসব এলাকায় রয়েছে চওড়া, প্রসস্থ ও পাক্কা রাস্তার সুবিধা। তবে হালিশহরের মতো কিছু এলাকায় রাস্তাঘাটের অবস্থা রয়েছে মারাত্মক পরিমাণ খারাপ। যা মানুষের খাটুনির একটি অন্যতম কারণ। তবে এইসব খাটুনির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো চট্টগ্রাম ওয়াসা।
চট্টগ্রাম ওয়াসা চট্টগ্রামে নানাভাবে পানি উন্নয়নের কর্মসূচি পালন করে থাকে। তবে তাদের কাজের ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় জনসাধারণ মানুষের। কারণ তারা একটু সুন্দর পাক্কা রাস্তা নষ্ট করে অর্থাৎ গর্ত খুড়ে রাস্তাটিকে করে দেয় চলাফেরা, যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। কেবল এই কাজটির কারণে মানুষের নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের একটি সাধারণ রাস্তার পরিবর্তে অন্য একটি রাস্তা দিয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে হয়
ফলরূপে দেখা যায় তারা তাদের গন্তব্য স্থলে দেরিতে পৌঁছায়। এছাড়া ছোট ছোট বাচ্চাদের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তার পাশাপাশি রয়েছে বৃদ্ধদেরও।
২০১৫ সালের ১৬ই জুলাই আজম নাসির উদ্দীন চট্টগ্রাম শহরের মেয়র পদে আসার পর সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত তিনি এই রাস্তাঘাটের বিষয়ে নানা রকম উন্নতি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে চট্টগ্রাম ওয়াসা এই বিষয়ে বিপরীত ভুমিকা রাখে। প্রত্যেক বছর তাদের নতুন নতুন করে মাটির নিচে পানির লাইন কিংবা পাইপ স্থাপন করতে হয়। তার ফলে রাস্তায় পাইপ লাইন বসানোর জন্যে গর্ত করার প্রয়োজনীয়তা হয় ও রাস্তা নষ্ট হয়।
এইসব কিছু ছোট ছোট সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্মের ফলে সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়। এই সমস্যাগুলো মানুষের জীবনে সরাসরিভাবে প্রভাব বিস্তার করে। চট্টগ্রাম ওয়াসা এর ও এই বিষয়ে গভীর মনোযোগ রাখতে হবে যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মানুষের কল্যাণে রাস্তাঘাট সুন্দর করছে তাই চট্টগ্রাম ওয়াসা এর দায়িত্ব ও কর্তব্য যে চট্টগ্রাম সফরের রাস্তাঘাটের সৌন্দর্য তারা বজায় রাখুক। তাদের কাজকর্ম এমন হওয়া উচিত যে বছর বছর পর পর রাস্তায় কাজ করার প্রয়োজন হয়। এছাড়া এইসব খেয়াল রাখার ফলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে ও লাভবান হবে। তাই ওয়াসা এর উচিত রাস্তাঘাটের সৌন্দর্যের উপর চোখ ধরে রাখা।