আয়মান সাদিক একজন শিক্ষা উদ্যোক্তা। তিনি কুমিল্লাতে জন্মগ্রহণ করেন। সদা হাসি মুখের এই মানুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
একদিন ফেসবুক লাইভে ভিডিও ফিচার ব্যবহার করে ক্লাস নিলেন, সেদিন প্রচুর সাড়া পেলেন। তিনি চিন্তা করলেন, এমন কিছু কী করা যায় যাতে ঢাকার শিক্ষার্থীদের মতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা ও শিখার সুযোগ পায় সহজে।তিনি বৈষম্য দূর করতে চাইলেন।
শুধু চিন্তা করে বসে থাকলেন না, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন টেন মিনিট স্কুল। অসাধারণ কিছু তরুণদের নিয়ে, ইতোমধ্যে এটি প্রথম শ্রেণী থেকে বিসিএস, স্কিল ডেভেলপমেন্ট থেকে অনুপ্রেরনার ভিডিও সরিয়ে দিচ্ছে। সহজ কথায় আয়মান সাদিক বাংলাদেশের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর নিকট দেশ বাংলা ৭১ নিউজ, টেন মিনিট স্কুল সম্পর্কে জানতে চাইলে, সে বলে তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায় এবং তার পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার।ইন্টারের শুরু থেকেই সে টেন মিনিট স্কুলকে ফলো করত। আয়মান সাদিকের ইংরেজি ক্লাসের একটিও বাদ দেই নাই বলে সে জানায়।এরকম আরো হাজারো গল্প আছে।
ইতোমধ্যে টেন মিনিট স্কুল ব্রাক মানথান ডিজিটাল উদ্ভাবনী পুরস্কার, সামাজিক প্রভাবের জন্য সুইচ দূতাবাস পুরস্কার, এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি এওয়ার্ড ইত্যাদি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। সাম্প্রতিক চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া এওয়ার্ড ২০২০এর বেস্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর (ফেইসবুক)হয়েছেন আয়মান সাদিক।
লাখো তরুণ এখন আয়মান সাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখে।